Wellcome to National Portal
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st মার্চ ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প(২য় পর্যায়)

প্রকল্পের নাম :  পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প(২য় পর্যায়)

 

  1.  

প্রকল্পের নাম

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প (২য় পর্যায়)

  1.  

প্রকল্প পরিচালকের নাম

ই-মেইল

মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, উপসচিব

mi@chtdb.gov.bd

  1.  

বাস্তবায়নকারী সংস্থা

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড

  1.  

প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল

জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২৩

  1.  

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

উদ্দেশ্য:

ক) পার্বত্য জেলার যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলকে আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা সম্ভব নয়, সোলার ফটোভোল্টাইক সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে সেসব এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা।

খ) পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত দরিদ্র জনসাধারনের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ।

গ) উক্ত অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত পাড়া কেন্দ্র সমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহকরণ।

ঘ) উক্ত অঞ্চলের দূর্গম এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্থাপিত স্টুডেন্ট হোস্টেল/ অনাথ আশ্রম/ এতিমখানা ও কমিউনিটি সেন্টার  সমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহকরণ।

ঙ) নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃ্দ্ধি।

লক্ষ্যমাত্রা:

ক) ৪০,০০০ টি বাড়িতে ১০০ ওয়াট পিক ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার হোম সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন।

খ) ২,৫০০ টি পাড়া কেন্দ্র/ স্টুডেন্ট হোস্টেল/ অনাথ আশ্রম/ এতিমখানা ও কমিউনিটি সেন্টারে ৩২০ ওয়াট-পিক সোলার কমিউনিটি সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন।

গ) ৪২,৫০০ জন উপকারভোগীকে সোলার ফটোভোল্টাইক সিস্টেম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান।

  1.  

প্রকল্প এলাকা

তিন পার্বত্য জেলার সকল উপজেলা

  1.  

প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করার জন্য সম্ভাব্য সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে দারিদ্র কমানোর লক্ষ্যে নির্ধারণ করেছে। স্থিতিশীল ও নিরাপদ বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে যা দারিদ্রতা কমাতে পারে। এ জন্য সরকার স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সুরক্ষা করার জন্য ‘‘পাওয়ার সেক্টর মাস্টারর প্ল্যান (PSMP) ২০১৬” প্রণয়ন করেছে। আলোচ্য প্রকল্পটি বিদ্যুৎ খাতে সরকারের লক্ষ্য ‘‘২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ” এর চাহিদা পূরণের জন্য নেওয়া একটি পদক্ষেপ।

 

রাঙ্গামাটি, বান্দরবন এবং খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মোট আয়তন ১৩,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। খাড়া পাহাড় এবং সরু উপত্যকা সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় উক্ত এলাকাসমূহ অত্যন্ত দূর্গম। উক্ত অঞ্চলসমূহের তিন চর্তুথাংশ জায়গা জুড়ে বির্স্তীণ বনভূমি, পর্বতমালা এবং উপত্যকা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট আয়তনের মাত্র ৫ শতাংশ চাষ উপযোগী সমতল ভূমি রয়েছে। এখানকার চিরাচরিত কৃষিজ অর্থনীতি জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। পাহাড়ি ভূখন্ড হওয়ায় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা দূর্গম এবং সময়সাপেক্ষ। একারণে দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দূর্গম এলাকাগুলো এখনও আধুনিকীকরণ হতে পিছিয়ে আছে।

 

বর্তমানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য্য। কিন্তু তিন পার্বত্য জেলার অনেক স্থানই দূর্গম পাহাড়ি ভূখন্ড হওয়ায় এখানে জাতীয় গ্রীড সংযোগ দেওয়া প্রায় অসম্ভব। একারণে এসব এলাকায় বিদ্যুৎতায়ন করার সবচেয়ে ভাই উপায় হলো গ্রীড বর্হিভূত সোলার ফটোভোল্টাইক হোম ও কমিউনিটি সিস্টেম, যা বিশ্বস্ত, পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশবান্ধব। বাংলাদেশে ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর নবায়নযোগ্য শক্তি নীতি অনুমোদিত হয়। বিষয়গুলি বিবেচনা করতঃ বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উক্ত প্রকল্পটি গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উল্লেখ্য দূর্গম পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর বেশীর ভাগই জুম চাষ এর উপর নির্ভরশীল এবং আর্থিক ভাবে খুবই অসচ্ছল। তাই স্রেডা কর্তৃক গঠিত কমিটি সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে চলমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প এবং টিআর/কাবিটা কর্মসূচির ন্যায় এসব এলাকায় স্থাপিতব্য সোলার হোম/কমিউনিটি সিস্টেম সমূহ বিনামূল্যে স্বত্তাধিকার মর্যাদায় দেয়ার সুপারিশ করে।

 

‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (পার্বত্য চট্টগ্রাম ‍উন্নয়ন বোর্ড-এর প্রকল্প)” জুন ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সদ্য সমাপ্ত প্রকল্পটির সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ১৯.১ নং সুপারিশে দূর্গম পার্বত্য এলাকার সমগ্র জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।